কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের দ্বারা তৈরি প্রথম রোবট ‘সিনা’ জায়গা করে নিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ( আইসিটি) পাঠ্যবইয়ের পাতায়। শিক্ষার্থীদের এমন অর্জনে আনন্দিত বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ।

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ইকবাল আহমেদের রচিত ‘আইসিটি এক্সপার্ট’ বইয়ের ৩১ নং পৃষ্ঠায় তুলে ধরা হয়েছে কুবি শিক্ষার্থীদের তৈরি রোবট ‘সিনা’।

রোবট সিনা তৈরি করা হয় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) অর্থায়নে এবং কুবি সায়েন্স ক্লাবের তত্ত্বাবধানে। এটি তৈরিতে কাজ করেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী সঞ্জিত মন্ডল, একই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাঈদুর রহমান, আইসিটি ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুয়েল নাথ এবং মোঃ মাসুম।

এবিষয়ে সঞ্জিত মন্ডল বলেন, ‘আমি আসলে এটাকে ঠিক অর্জন বলবো না। আমি চাই রোবটিক্স সারা বাংলাদেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক। শিক্ষার্থীরা রোবটিক্স নিয়ে অনেক কিছু জানুক তারা নিজেরা রোবট তৈরি করুক এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তারা এগিয়ে থাকুক এবং টেকনোলজি তে তারা বাংলাদেশকে একটি সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাক।

কিভাবে রোবট প্রোগ্রাম করতে হয় এবং কিভাবে রোবট তৈরি করতে হয় শিক্ষার্থীরা যখন এই গুলো শিখে যাবে তখন বাংলাদেশের চিত্রটাই পাল্টে যাবে এবং প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তৈরি হবে। এমন কিছু হলে সেটা হবে আমার জন্য অনেক বড় একটা অর্জন।’

পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিষয়ে বলেন, ‘সত্যি বলতে কোন কিছু নিয়ে কাজ করার সময় কিংবা নতুন কোনো কিছু তৈরি করার সময় নিজের কল্পনা আবিষ্কারটি যেন বাস্তবতার মুখ দেখে সেটাই মাথায় ঘুরে।

আর যখন আমি নিজেই ছাত্র থাকা অবস্থায় আমার আবিষ্কার পাঠ্য বই তে দেখার সৌভাগ্য হয় এই আনন্দটা নোবেল প্রাইজ পাওয়ার থেকে কোনো অংশে কম নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, খবরটি শুনে খুব খুশি হয়েছি। আইটি শিক্ষায় দক্ষতার প্রমাণ রাখায় বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাই।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানকে কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ায় এবং স্কুলের শিশুদের দক্ষ গড়ে তোলার জন্য নিযুক্ত করায় । আমি নিশ্চিত, এই ধরনের কাজ আগামী দিনে আরও অনেক ইতিবাচক ফলাফল তৈরি করবে।